বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

রংপুর আওয়ামী লীগে ১১ ও বিএনপিতে ৪ ভাগ নারী

৩৩ শতাংশের বাধ্যবাধকতা

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মানছে না রংপুরের রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সব স্তরের কমিটিতে নারী সদস্যের হার হতাশাজনক। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে ১১, জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টিতে ৮ এবং বিএনপিতে ৪ শতাংশ নারী সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন। তৃণমূলে নারীর স্থান আরও কম।

জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে কেন্দ্রসহ রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ পদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং ২০২০ সালের মধ্যে সেটি শতভাগ লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে। ওই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হাতে আছে মাত্র আড়াই বছর। কিন্তু জেলার কোনো দলই গত ৯ বছরে লক্ষ্যের অর্ধেকও পূরণ করতে পারেনি।  

কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে নারী সদস্যের হার ১৫ শতাংশ বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলটির রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটিতে ১১ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন। ৮৫ সদস্যের জেলা কমিটির বিভিন্ন পদে ১০ এবং ৭৯ সদস্যের মহানগর কমিটিতে ১০ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে নারী সদস্যের হার ৩-৪ শতাংশ বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। 

জেলা ও মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। গত ২৬ মে কেন্দ্র থেকে আংশিক কমিটি করা হয়েছে। ২১ সদস্যের জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটিতে একজন করে নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন। এর আগের ১০১ সদস্যের জেলা ও মহানগর কমিটিতে ৪ শতাংশ হারে নারী প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হলে নারী সদস্যের হার কিছুটা বাড়বে। এদিকে জেলা জাতীয় পার্টির দুই সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির দুজনই পুরুষ। তবে ১৫১ সদস্যের মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন ১৩ জন। অর্থাৎ ৮ শতাংশ। মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে নারী সদস্যের হার বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর