শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বর্ষণে চট্টগ্রাম-রাজশাহীতে মানুষের ভোগান্তি চরমে

২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি

প্রতিদিন ডেস্ক

চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে গতকালও বর্ষণ অব্যাহত ছিল। কোথাও ভারি এবং কোথাও থেমে থেমে বর্ষণ হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো বিবরণ—

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল কর্ণফুলীতে প্রথম জোয়ার এসেছে ভোর ৫টা ৪ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জোয়ার আসে বিকাল ৫টা ৪৮ মিনিটে। সকালে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের দিকে শুরু হয় ভারি বর্ষণ। এ সময় নদীতে ছিল জোয়ার। পানিতে টইটম্বুর ছিল কর্ণফুলী নদী, চাক্তাই খাল ও মহেশখালসহ নগরের ছোট খালগুলো। জানা গেছে, এ সময় নগরের চাক্তাই খাল সংলগ্ন আসাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ এবং আগ্রাবাদ এলাকার এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক এলাকা, গোসাইলডাঙ্গা, হালিশহর, চান্দগাঁওসহ অনেক এলাকা ডুবে যায়। চাক্তাই খালের পাড় উপচে আসাদগঞ্জে পানি ঢুকে পড়ায় শুঁটকির আড়তদার ও পাইকারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। মূল সড়কেও হাঁটু পানি জমে যায়। চট্টগ্রাম মহানগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ থাকায় মানুষের নাকাল অবস্থা তৈরি হয়েছে।

রাজশাহী : রাজশাহীতে গত বুধবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছেই। মাঝে মাঝে মুষল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় গতকাল শহরে সকাল থেকেই সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল কম ছিল। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হননি। দোকানপাট ও বিভিন্ন বিপণি কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে খুবই কম। রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল তেমন ছিল না। বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে উঠেছে গ্রামীণ পথঘাট। পথ চলতে দারুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী-নাটোরসহ অন্য সড়কগুলোও বৃষ্টিতে হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ। সড়কের গর্তগুলোতে জমেছে পানি। ফলে যানবাহন চলাচল হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক।  কৃষিবিদরা বলছেন, টিপ টিপ বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে মাথাব্যথার কারণ। বৃহস্পতিবার অফিসগামী মানুষকেও পড়তে হয় দারুণ ভোগান্তিতে।

সর্বশেষ খবর