শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কমছে ঋণ প্রবাহ

মুদ্রানীতি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ষাণ্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। খেলাপির লাগাম টানতে নতুন ঋণের প্রবৃদ্ধি দশমিক ৬০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ফজলে কবীর এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান ও এস কে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে তা কমিয়ে ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও কমানো হয়েছে। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে এটি কমিয়ে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ। ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণায় বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশের বিপরীতে মে’ ১৭ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরা হলেও গত মে মাস পর্যন্ত সময়ে প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ শতাংশ।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হবে : মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে গভর্নর ফজলে কবীর বলেন, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ মুনাফার হার সরকারের সুদ ব্যয়ভার বাড়াবে। এ ছাড়া মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বন্ড বাজারের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে। এর ফলে মুদ্রানীতির কার্যকারিতার জন্য দরকারি সুষ্ঠু ট্রান্সমিশন চ্যানেলের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অচিরেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা হার বিদ্যমান বাজার সুদহারের সঙ্গে সম্পর্কিত করতে হবে। গভর্নর বলেন, সঞ্চয়পত্র মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের একটু একটু সঞ্চয় একদিন উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করে। এ জন্য সঞ্চয়পত্র সুদের হার নিয়ে সরকার অনেক চিন্তাভাবনা করছে। বিশেষ করে এটাকে একটি বিধিবদ্ধ ও যৌক্তিক হারের মধ্যে আনার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বিক্রির একটি নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া যেতে পারে কিংবা আমাদের আউটলেটগুলোতে ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংযুক্তি থাকতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর