শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম নগরীর ক্ষতবিক্ষত সড়কে দুর্বিষহ যানজট

অভিভাবকহীন দশা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক ও অফিসপাড়া-খ্যাত আগ্রাবাদ সংলগ্ন আগ্রাবাদ এক্সেস রোড। বাদামতল মোড় থেকে বড়পুল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে গর্ত ছাড়া কিছুই নেই। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরে আছে পুরো সড়ক। এসব গর্তে জমা আছে কাদা পানি। তার মধ্যেই চলছে যানবাহন। আর লেগে থাকছে দুর্বিষহ যানজট। এই সড়কের ব্যবসায়ী এ এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা। সড়কটি বৃষ্টির সময় থাকে পানির নিচে, রোদের সময় থাকে জোয়ারের পানি। বৃষ্টি ও জোয়ার না থাকলে আমাদের সঙ্গী হয় ক্ষতবিক্ষত সড়ক। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সড়কটি অভিভাবকহীন।’  

এই সড়কেই আছে অন্তত অর্ধশত আধুনিক ফার্নিচারের দোকান। দুই মাস ধরে প্রতিটি ফার্নিচারের দোকানের সামনে টাঙানো আছে একটি ডিজিটাল ব্যানার। তাতে লেখা আছে, ‘জলাবদ্ধতার কবল থেকে আমাদের বাঁচান।’ কেবল এই সড়ক নয়, নগরীর প্রতিটি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কেরই এখন এমন বেহাল দশা। যানবাহন চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। সড়ক দিয়ে গতিহীন যান চলাচলের কারণে নিত্যসঙ্গী হয়েছে অবর্ণনীয় যানজট। সকাল থেকে রাত অবধি যানজটে অস্থির থাকে সড়কগুলো। তবে অতীতে কেবল সড়কে যানজট থাকলেও এখন তা বিস্তৃত হয়েছে উপসড়ক, গলি-উপগলি পর্যন্ত।

গতকাল দিনভর নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কেই ছিল যানজটে অস্থির। প্রধান সড়ক বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর-জিইসি মোড়-লালখান বাজার-দেওয়ানহাট মোড় হয়ে আগ্রাবাদ বাদামতল মোড় পর্যন্ত ছিল যানজট। বহদ্দারহাট থেকে নতুন ব্রিজ, কোতোয়ালি থেকে চাক্তাই সড়কেও ছিল যানজট। মুরাদপুর থেকে প্রবর্তক মোড়, মেহেদিবাগ হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড় এবং মুরাদপুর থেকে পাঁচলাইশ-চকবাজার-আন্দরকিল্লা-লালদীঘি হয়ে নিউমার্কেট পর্যন্তও ছিল একই অবস্থা।

বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বহদ্দারহাট থেকে আগ্রাবাদ যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ মিনিট। কিন্তু গতকাল যেতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। থেমে থেমে চলে গাড়ি। কোথাও যানজট, কোথাও বেহাল সড়ক। ফলে গাড়ি চলেছে অত্যন্ত মন্থর গতিতে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর