শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিবিএ ফেল করে এমবিএ ডিগ্রি

রাশেদ হোসাইন

বিবিএ ফেল করে এমবিএ ডিগ্রি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১১-১২ শিক্ষাবর্ষের চার শিক্ষার্থী বিবিএ ফেল করে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে স্নাতক পাস না করে কীভাবে স্নাতকোত্তর পাস করল।

জানা যায়, গত বছরের ১৭ জুন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১১-১২ বর্ষের বিবিএ ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে ৮ জন শিক্ষার্থী ফেল করেন। নিয়মানুযায়ী ফেল করা শিক্ষার্থীদের দুই মাসের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় যারা পাস করবেন তারা এমবিএ কোর্সে ভর্তি ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু ফেল করা শিক্ষার্থীদের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা না নিয়েই চারজন শিক্ষার্থীর এমবিএ কোর্সে ভর্তি ও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ভুয়া টেস্টিমোনিয়াল ও ভুয়া সিজিপিতে পাস দেখিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে তাদের ভর্তি করানো হয়। এ জালিয়াতিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আক্তারুজ্জামানের সহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া যায়। আর রেজিস্ট্রার অফিস কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এরপর তাদের নিয়মিত ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গত বছরের ২০ জুলাই থেকে ৪ আগস্টের মধ্যে এমবিএ প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর এ দুই সেমিস্টার পরীক্ষায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে প্রবেশপত্রও নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার পর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু ২০১৫-১৬ এ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল এ বছরের ১৩ জুন ও দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল ১৪ জুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে জমা দেওয়া হয়।  

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ভুল করে হয়তো ভুয়া টেস্টিমোনিয়াল ও সিজিপিএধারী   বিবিএ ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে। তবে যারা ভুয়া টেস্টিমোনিয়াল ও সিজিপিএ দাখিল করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আক্তারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে    বলেন,  উপাচার্য বিষয়টি দেখবেন।  

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ভিসিকে জানিয়েছি। সামনে একাডেমিক কাউন্সিল, সেখানে যে ডিসিশন দেবে তা মেনে নেব। আর একাডেমিক কাউন্সিল বিবিএ ফেল করা শিক্ষার্থীদের এমবিএ ডিগ্রি দেওয়া বা পরীক্ষা বাতিল করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর