মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
প্রথম জাতীয় কনভেনশন

সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭। কনভেনশনের শেষ দিন গতকাল স্থানীয় পরিস্থিতি ও আবহাওয়া বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব্ব দিয়ে কথা বলেছেন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে কনভেনশনে যোগ দেওয়া জনপ্রতিনিধি, ভুক্তভোগী, কর্মকর্তা এবং এনজিও প্রতিনিধিরা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল জানিয়েছেন, কনভেনশনের কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশ ও মতামতের আলোকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে। রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ শুরু হয়। দুর্যোগপ্রবণ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, হাওর এলাকা ও পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা ১৫০০-এর বেশি লোক কনভেনশনে অংশ নেন।

কনভেনশনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বন্যা ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থাপনা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাস এবং হাওর অঞ্চলে বন্যার কারণ ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে তিনটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া দুর্যোগ ও প্রতিবন্ধিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ— এ তিনটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

হাওরের উন্নয়নে নদীর পানি নিষ্কাশনের সমস্যা দূরীকরণ, অপরিকল্পিত স্লুইসগেট অপসারণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা আনয়ন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, সরকারের সব উন্নয়ন বরাদ্দ শুকনো মৌসুমের পূর্বেই ছাড়করণেরর ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকরা। ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচুকরণ, আরও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগকালে সমুদ্রে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ব্যবহার, কমিউনিটি রেডিও চালুকরণ, সচেতনতা অনুষ্ঠান জোরদারকরণ, ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপির সম্পর্ক নিবিড়করণ ও উপজেলা পর্যায়ে সিপিপির কার্যালয় স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

বন্যা মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলা হয়, বন্যা থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর, আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, বন্যাপ্রবণ এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ, বন্যার পর রাস্তাঘাট দ্রুত নির্মাণ ও পুনর্বাসন সর্বোপরি বন্যা প্রতিরোধে সবার করণীয় নির্ধারণ করে গাইডলাইন নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

কনভেনশনের সমাপনী দিনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কমিটির সদস্য মমতাজ বেগম এমপি, সফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর