বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি বেতন পান সাংবাদিকরা : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি বেতন হওয়ায় সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ডের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড আননেসেসারি, টোটালি আননেসেসারি। বিকজ ইয়োরস স্যালারি স্কেলস আর বেটার দ্যান গভর্নমেন্ট স্যালারি স্কেলস। সাংবাদিকদের বেতন বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন থাকা এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ৮ হাজার টাকা বেতনে সাংবাদিকতা শুরুর বিষয়টি একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে জানালে তিনি বলেন, মাস্টার্স পাস করে আমাদের পিয়ন পদেও চাকরি করছে। পেনশন না পেলেও প্রভিডেন্ট ফান্ড আছে আপনাদের। এ সময় এক সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, পত্রিকার মালিকরা আপনাকে ভুল বুঝিয়েছে। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের সঙ্গেও বসতে চাই। কিন্তু কার সঙ্গে বসব? আপনাদের অনেক সংগঠন। একজন বা দুজন দায়িত্ব নেন, আপনাদের বেতন কাঠামো আমাকে দেন। টেলিভিশনে ওয়েজ বোর্ড নেই, সব পত্রিকায়ও ওয়েজ বোর্ড কার্যকর নেই—সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রশ্নে মুহিত জানতে চান, ঢাকায় কয়টি দৈনিক পত্রিকা আছে?

একজন সাংবাদিক উত্তরে ‘২০১টি’ বললে মুহিত ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, রাবিশ, ইটস মাই আনসার টু ইউ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৫টি (দৈনিক পত্রিকা) হবে কি না আমার সন্দেহ আছে, ২০টি হতে পারে বড়জোর। টেলিভিশনে সাংবাদিকদের বেতন কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে— এ প্রশ্নে মুহিত বলেন, তাহলে পথে টেলিভিশনগুলো মরে যাবে। দুনিয়ার কোনো খানে এতগুলো টেলিভিশন স্টেশন আছে, কোন দেশে? নতুন নতুন টিভির অনুমোদন তো আপনারাই দিয়েছেন— এক সাংবাদিক বলার পর মুহিত বলেন, এতগুলো টেলিভিশন স্টেশন আছে এগুলো থাকবে না, অটোমেটিক্যালি এগুলো মরে যাবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদপত্র শিল্পের নানা সমস্যা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তারা সংবাদপত্র মালিকদের সঙ্গে বসেছিলেন। বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নোয়াবের সভাপতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকাল প্রকাশক এ কে আজাদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মর্তুজা আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ডিএফপির মহাপরিচালক ইসতাক আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর