বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পোশাকশিল্পে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প নিয়ে অতীতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল, এখনো আছে। এ খাতে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রতিযোগীরা  তৎপর রয়েছে। তবে কোনো অপতৎপরতা বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি এবং পোশাকশিল্প খাতের অগ্রগতিও দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এ শিল্পের ধারাবাহিক উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। পোশাকশিল্পের কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, শিল্প-কারখানা পরিদর্শন ও মনিটরিং জোরদারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা—আইসিসিবি-তে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল আয়োজিত টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্পের চার দিনব্যাপী ত্রি-মাত্রিক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রি-মাত্রিক প্রদর্শনীগুলো হলো— ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ-২০১৭, ১২তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৭ এবং ২৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৭’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন—এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি— বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি—বিকেএমইএ সহসভাপতি মনসুর আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বহির্বিশ্বে স্বার্থান্বেষী মহলের নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও পোশাকশিল্প ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে। ২০২১ সালে এ খাতের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জনে সক্ষম হবে। পোশাক খাতে জ্ঞানভিত্তিক ও হাইটেক শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কাজ চলছে। এরসঙ্গে পোশাকের মূল্য সংযোজন, প্রয়োজনীয়, কাঁচামাল ও এক্সেসরিজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, পোশাকশিল্প সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। রানাপ্লাজা ও তাজরিনের ঘটনা আমাদেরে পেছনে নিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে গেছে। বিশ্বে আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চলছে। কিছু এনজিও ও শ্রমিক নেতা এবং এক শ্রেণির নব্য রাজাকারের জন্ম হয়েছে। তাদের কোনো চাপানো সিদ্ধান্ত দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।

প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় ১ হাজার ১৫০টি প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৪০০টি স্টল নিয়ে এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। এতে টেক্সটাইল ও পোশাকশিল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, সুতা ও কাপড় উৎপাদক মেশিনারিজ, ডায়েস এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যের বিশাল সমাহার রয়েছে। এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১২ আগস্ট প্রদর্শনীর সমাপনী।

সর্বশেষ খবর