শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাহাড়ধস বন্ধে ১২ সুপারিশ

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণে পরিবেশ অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পাহাড়ধসের পর পরিবেশ অধিদফতর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড়ধস বন্ধে ১২ দফা সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংসদীয় কমিটিতে। পাহাড়ি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট নির্মাণসহ পাহাড়ের অবৈধ বসতি স্থাপন নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ করাসহ বিদ্যমান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। এ সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে কার কী দায়িত্ব হবে, এ বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। কমিটি বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। সংসদ ভবনে গতকাল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ। চলতি বছর কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাবর্ত্য এলাকায় পাহাড়ধসে দেড় শতাধিক লোক নিহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটি পরিবেশ অধিদফতরকে পাহাড়ধসের কারণ ও প্রতিকারের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির সুপারিশ করে। গতকাল জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি এলাকায় রাস্তা নির্মাণের সময় পাহাড়ের ঢাল যেন কোনোক্রমেই ৩৫-৪০ ডিগ্রির বেশি না হয়। এ ছাড়া পাহাড়ের ঢালে সিমেন্ট ব্লক বসানোসহ ঘাসের আচ্ছাদন লাগাতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ের ঢাল এবং পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতর পাহাড় ও টিলা সংরক্ষণে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ কঠোরভাবে প্রতিপালনের সুপারিশ করে। একইসঙ্গে পাহাড়ি এলাকার ম্যাপিং, জোনিংসহ বিস্তারিত তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা, পাহাড় সংরক্ষণ এবং পাহাড়ি এলাকার ব্যবহার সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর