শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয় কেন

২৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিস

মোস্তফা কাজল

একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিলের নেপথ্যে কাজ করা ২৮ হজ এজেন্সিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে হজযাত্রী সংকট ও ই-ভিসা জটিলতার সৃষ্টি করে তারা। কৃত্রিম যাত্রী সংকট সৃষ্টি করে হজ ফ্লাইট বাতিলের নেপথ্যে থাকা ওই ২৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল এ চিঠি সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিগুলোর অফিসের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এদিকে গতকালও যাত্রী সংকটের কারণে একটি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ নিয়ে ১৬ দিনে ২৬ হজ ফ্লাইট বাতিল করা হলো। বাতিল হওয়া হজ ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২২ ও সাউদিয়া এয়ারলাইনসের ৪টি রয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার ঘটনায় বিকালের একটি ফ্লাইট রি-শিডিউলিং করা হয়।

কৃত্রিম যাত্রী সংকট সৃষ্টির বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আজ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। অন্যদিকে বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইনসকে অতিরিক্ত শ্লট নিয়ে সব হজযাত্রী পরিবহনের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জরুরি সভার সিদ্ধান্ত  অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সভায় যেসব হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভিসা করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হজযাত্রী প্রেরণের জটিলতা দূর করার বিষয়ে জানতে চাইলে হাব মহাসচিব মো. শাহাদাত হোসেন তসলিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানত তিন সংস্থা বিমান, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে। মক্কা ও মদিনায় অনেক হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি। ফলে এসব হজ এজেন্সির অনেক হজযাত্রী ভিসা পেয়েও বিমানে উঠতে পারছেন না। এই সমন্বয়হীনতা চলমান থাকলে আগামীতেও এ ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। যাতে কয়েক হাজার হজযাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।

সর্বশেষ খবর