শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

৫৬-তে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৫৫ বছর পর শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। দেশের নামকরা এমন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে এখন দেশসেরা কৃষি শিক্ষার সূতিকাগার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠটি সম্প্রতি দেশের দেড়শ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম হয়েছে। সেই সঙ্গে এক্সিলেন্স র‌্যাঙ্কিং ৬৮৮ এবং ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং ২০৬১-তে অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়টির। অন্যদিকে বুয়েটের এক্সিলেন্স র‌্যাঙ্কিং ১৯৫৭ এবং ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং ২১৩৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিলেন্স র‌্যাঙ্কিং ১৮৫৫ এবং ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিং ২২৭৫। বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত স্প্যানিশ জাতীয় গবেষণা কাউন্সিলের সাইবারমেট্রিক্স ল্যাবের গবেষণার ফল এমন তথ্যই দিচ্ছে। এমন সাফল্যে উচ্চশিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আলী আকবর বলছেন, ‘আজ ১৮ আগস্ট এই বিশ্ববিদ্যালয় পা রাখছে ৫৬ বছরে। সফলতার ৫৫টি বছর পর এমন স্বীকৃতি সত্যিই আনন্দের। র‌্যাঙ্কিং তৈরিতে শুধু কৃষি শিক্ষা নয়, বিবেচনায় আনা হয়েছে শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নব-প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা।

জানা যায়,            প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে স্প্যানিশ জাতীয় গবেষণা কাউন্সিলের সাইবারমেট্রিক্স ল্যাব এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে তারা নিয়মিত বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ক্ষুধা-মঙ্গা-দারিদ্র্য দূর করে দেশকে একটি শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে ১৮ আগস্ট পথচলা শুরু করে বাকৃবি। সেই থেকেই কৃষিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। উওীর্ণ কৃষিবিদরা দেশে খাদ্য জোগানের জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। আন্তর্জাতিকভাবেও কৃষি গবেষণায় তাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

সর্বশেষ খবর