শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

নেতৃত্ব বিকাশের পথ দেখায় বিতর্ক

ডিআরএমসি-বসুন্ধরা খাতা জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিতর্ক হচ্ছে প্রচণ্ড রকমের একটি যুদ্ধ; যে যুদ্ধে কামান, স্টেনগান, বোমা বা রক্তারক্তি নেই। আবার কোনো জয়-পরাজয়ও নেই। কিন্তু ফল অত্যন্ত মধুর। এ বিতর্কেই যুক্তি ও বুদ্ধির মাধ্যমে মেধাকে বিকশিত করা যায়। বিতর্ক নেতৃত্ব বিকাশেরও পথ দেখায়। যদি তরুণসমাজকে যুক্তিতে বিশ্বাসী করা যায়, তাহলে তাদের আর বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা নেই। গতকাল ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ (ডিআরএমসি)-বসুন্ধরা খাতা জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কলেজের রেমিয়েন্স ডিবেটিং সোসাইটি (আরডিএস) এ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর বসুন্ধরা খাতা।

এবারের উৎসবের স্লোগান ‘বিতর্ক হোক তারুণ্যের মশাল’। দেশের স্বনামধন্য প্রায় ৭০টি স্কুল ও কলেজ অষ্টমবারের মতো তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল মান্নান ভুঁইয়া বলেন, ‘বিতর্ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বিতর্ক সত্য নির্ণয় করে না, কিন্তু সত্য উদ্ঘাটনের পথ দেখায়। বিতর্কের লক্ষ্য সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কীভাবে যৌক্তিকতার মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন করা যায় তা শেখা। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খবর জেনেও তা উপস্থাপন করা যায়। বিতর্ক বলার ক্ষমতা ও আস্থা বাড়িয়ে দেয়। আর এর মাধ্যমেই নেতৃত্ব বিকাশের পথ সৃষ্টি হয়।’ বসুন্ধরা গ্রুপের ভূয়সী প্রশংসা করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘বিতর্ক একটি সামাজিক কাজ। এখান থেকে যদি একটি কৃতী ছেলেও বেরিয়ে আসে তাও বড় ব্যাপার। এ ধরনের আয়োজনে সাধারণত কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করে না। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ, তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে। বসুন্ধরা গ্রুপের স্লোগান “দেশ ও মানুষের কল্যাণে”। এই আয়োজনকে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে তারা তাদের স্লোগানকেই স্মরণ করিয়ে দিল।’ আয়োজকরা জানান, চারটি লেভেলে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা হবে। গতকাল অনুষ্ঠিত হয় স্কুল লেভেলের (নবম ও দশম শ্রেণি) প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেয় ২৪টি স্কুল। আজ হবে শিশু লেভেল (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি) ও কলেজ লেভেলের (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির) প্রতিযোগিতা। শিশু লেভেলে ৩২টি স্কুল ও কলেজ লেভেলে ২৪টি স্কুল অংশ নেবে। উৎসবের শেষ দিন কাল সব লেভেলের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া শেষ দিন থাকবে পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা। এতে যে কোনো বয়সের প্রতিযোগীরা অংশ নিতে পারবে। গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আরডিএস সভাপতি সেজান মাহমুদ প্রান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক মিম।

সর্বশেষ খবর