শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

খুলনায় আন্দোলনে সাংস্কৃতিক কর্মীরা

শিল্পাঙ্গনে কালো থাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ নেই। এনজিওর একজন মালিকের হাতে এটি কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে। তার কালো থাবায় খুলনায় সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার খুলনা নাট্য নিকেতনে মতবিনিময় সভায় এসব অভিযোগ করেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তারা স্থিমিত হয়ে পড়া খুলনার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ফের বেগবান করতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর খুলনা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অভিযোগ রয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনায় সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ না থাকায় এরই মধ্যে ভবনটির নির্মাণ ব্যয় আত্মসাৎ ও ভুয়া ভোটারের মাধ্যমে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য কমপ্লেক্সে মুক্ত মঞ্চ, সুদৃশ্য গ্যালারি ও প্রশাসনিক ভবন থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ নাট্যচর্চার জন্য নেই বড় অডিটরিয়াম। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড না থাকায় সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। সংস্কৃতি কর্মী মোতালেব মিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, খুলনায় একটি এনজিওর একজন মালিক দীর্ঘদিন ধরে শিল্পকলা একাডেমি কুক্ষিগত করে রেখেছেন। তার কালো থাবায় সংস্কৃতি অঙ্গন স্থিমিত হয়ে পড়েছে। শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণের অর্থ ও অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করাই তার উদ্দেশ্য। এদিকে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশে অনুমোদিত নকশার বাইরে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে দাবি করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন খুলনা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিষদের কার্যকরী কমিটির সভাপতি শাহীন জামান পন। তিনি বলেন, ‘খুলনার শিল্পকলা একাডেমি আমলাতান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। এখানে শিল্পের বিকাশ ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ নেই। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের আন্দোলনে নামতে হচ্ছে।’

খুলনা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিষদের সমন্বয়ক মোখলেসুর রহমান বাবলু বলেন, শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতি কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। অন্যথায় সংস্কৃতিচর্চা ও শিল্পী-কুশলী তৈরির পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর