শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পরিচালকের অভাবে নিষ্ক্রিয় সেই খাদ্য পরীক্ষাগার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্পের আওতায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) একটি আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার নির্মাণ করে দেয়। ছয়টি ল্যাবে দেওয়া হয় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ৮২টি যন্ত্র। আছে প্রয়োজনীয় জনবল। তবুও স্বয়ংসম্পূর্ণ অত্যাধুনিক ল্যাবটি মাত্র একজন পরিচালকের অভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। দাফতরিক কাজের ‘সাইনিং অথরিটি’ (পরিচালক) না থাকায় ল্যাবের কার্যক্রম অনেকটাই শূন্যে পর্যবসিত হয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের বিবিরহাটে পরীক্ষাগারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। খাদ্য পরীক্ষাগারের ইনচার্জ রসায়নবিদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষাগারটি পূর্ণাঙ্গ হলেও সাইনিং অথরিটির অভাবে প্রশাসনিক প্রয়োজনীয় কাজ করা যাচ্ছে না। নগরে যে পরিমাণ ভেজাল খাদ্য উত্পাদন ও বিপণন হচ্ছে, তাতে প্রতিষ্ঠানটি কার্যকর করা জরুরি। কারণ বর্তমানে অভিযানে জরিমানা ছাড়া ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। সাইনিং অথরিটি থাকলে মামলাসহ আইনি কাজগুলো করা যেত। এর মাধ্যমে চসিকের রাজস্বও বাড়ত।’ পরীক্ষাগারের সহকারী কেমিস্ট ইলিয়াস জাহেদী সম্পদ বলেন, ‘ল্যাবে বিভিন্ন প্রকারের ২৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫টির ভেজাল শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মিষ্টি ও ৫০ শতাংশ দই সম্পূর্ণ ভেজাল। এসব পণ্যই নগরবাসী প্রতিনিয়ত খাচ্ছেন।’ চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পরিচালক-শূন্যতায় ল্যাবটির প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। চসিকের একজন চিকিত্সককে হলেও পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া যায়। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও চসিক এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর