রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
বইয়ের প্রকাশনায় বক্তারা

প্রচলিত অর্থশাস্ত্র সমাজকে ধারণ করতে পারেনি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রচলিত অর্থনীতি শাস্ত্র শাস্ত্রীয়ভাবে যতটা উন্নত হয়েছে নৈতিকভাবে তত বেশি উন্নত হয়নি। ব্যাপক অর্থে অর্থনীতি শাস্ত্র আমাদের সমাজকে ধারণ করতে পারেনি। আমাদের একাডেমিক অর্থনীতি শিক্ষা প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে সজাগ করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রথাবিরোধী ও গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত রচিত ‘অর্থনীতি শাস্ত্রে দর্শনের দারিদ্র্য’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ড. শফিকুজ্জামান, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক আবুল বারকাত। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে পড়ার চর্চা কমে গেছে। প্রচলিত অর্থনীতিতে আমরা নৈতিকতার চেয়ে যৌক্তিকতাকে বেশি গুরুত্ব দিই। প্রবৃদ্ধি নিয়ে যতটুকু হৈচৈ করি দরিদ্রদের অধিকার নিয়ে ততটা আলোচনা করি না। আমাদের দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ার কারণ ধনী ও ক্ষমতাবানদের অনৈতিক ধান্দাবাজি।’ বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বইটি ব্যতিক্রমধর্মী। এখানে অর্থনীতির দার্শনিক ভিত্তির ওপর আলোচনা করা হয়েছে। লেখক বইটিতে অর্থনীতি শাস্ত্রে দর্শনের যে দারিদ্র্য রয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোকপাত করেছেন।’

সমাপনী বক্তব্যে বইয়ের লেখক অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, ‘আমরা যারা এ প্রজন্মের মানুষ আমাদের আগামী প্রজন্মের অর্থনীতি নিয়ে এখনই চিন্তা করতে হবে। বইটিতে অর্থনীতির ইতিহাস এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চিন্তার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের জন্য কোন ধরনের অর্থনীতি শিক্ষা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর