সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিপর্যস্ত বিএনপি রংপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

বিপর্যস্ত বিএনপি রংপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

রংপুরে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকের অভাব ছিল না। মাঠের রাজনীতিতেও বেশ সরব ছিল দলটির নেতা-কর্মীরা। শুধু নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ দলাদলির কারণে কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে দলটি। মাঠের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পাড়ছিল না। চলতি বছরের মে মাসে গঠন করা নতুন কমিটিতে তরুণ ও ত্যাগী নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ায় কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে রংপুর বিএনপিতে। নীরব নেতা-কর্মীরা ফের সরব হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘদিনের দুর্বলতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন নেতারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ত্যাগী ও মাঠে থাকা নেতাদের বাদ দিয়ে ২০১৪ সালে কেন্দ্র থেকে গঠন করা জেলা ও মহানগর কমিটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এই কমিটি দলের একাংশ প্রত্যাখ্যান করে। এই অংশের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু ও রইচ আহমেদ। বিএনপির একাংশ ছাড়াও তাদের পক্ষে অবস্থান নেয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্র দলের একটা বড় অংশ। তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনা করে মামলা-হামলার শিকার ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি করে আসছিল বিদ্রোহী পক্ষ। কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসা ছেড়ে দেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করা হতো পৃথকভাবে। বিরোধের কারণে মহানগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো কমিটি নেই। আট উপজেলায় রয়েছে পাল্টাপাল্টি কমিটি। এই দ্বন্দ্বের বিরূপ প্রভাব পড়ে জাতীয় সংসদসহ সবকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। জিয়াউর রহমানের শাসনকালের পর থেকে অনুষ্ঠিত কোনো সংসদ নির্বাচনেই রংপুরের ছয়টি আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি। রংপুর সিটি করপোরেশন, আট উপজেলা, তিন পৌরসভা ও ৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর