সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

পণ্য উত্তোলনে গড়িমসি ডিলারদের

খোলা বাজারে শুরু হয়নি টিসিবির কার্যক্রম

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খোলা বাজারে বিক্রির পণ্য উত্তোলনের আগ্রহ নেই ডিলারদের। বাজারের চেয়ে টিসিবি পণ্যের দাম বেশি এবং গুণগত মান খারাপ হাওয়ায় লোকসানের অজুহাতে ডিলাররা পণ্য তুলছেন না। এ কারণে সরকারের ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গতকাল থেকে বরিশালে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত একজন ডিলারও পণ্য উত্তোলন করেননি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় দফতরকে অবহিত করেছেন বরিশাল টিসিবি কর্মকর্তা। টিসিবি সূত্র জানায়, সারা দেশের ন্যায় বরিশালেও ডিলারদের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করবেন টিসিবি ডিলাররা। টিসিবি কর্তৃপক্ষ প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮৫ , মসুর ডাল কেজি প্রতি ৭০ ও চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। বরিশাল বিভাগে টিসিবি’র মোট ডিলার ১২১ জন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৯ জন ডিলার । প্রতি ডিলারকে ৪০০ কেজি চিনি, ৩০০ কেজি মসুর ডাল এবং ২৫০ লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করে টিসিবি। ডিলাররা ওই পণ্য উত্তোলনের পর ট্রাকে নির্ধারিত স্থানে বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ডিলারদের অভিযোগ, ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ থেকে ৬৫ ও প্রতি কেজি চিনি ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। টিসিবি পণ্যের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এ কারণে ক্রেতারা লাইন দিয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে চাচ্ছেন না। ডিলারদের দাবি টিসিবি পণ্য মূল্য আর বর্তমান বাজার মূল্যের মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। যে দামে টিসিবি পণ্য দিচ্ছে সে দামে খোলা বাজারে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। এমন অবস্থায় লোকসানের আশঙ্কায় তারা টিসিবি পণ্য কিনছেন না বলে জানিয়েছেন।

টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক অফিস প্রধান হাওলাদার মো. মাসুম জানান, টিসিবি পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত হয়ে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে আসে। সেখান থেকে মূল্য নির্ধারণ করে পাঠানো হয় আঞ্চলিক অফিসে। এ কারণে স্থানীয়ভাবে মূল্য কমানোর কোনো এখতিয়ার নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর