বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বই থাকবে না। বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তারা জানে— বিএনপি যদি রাজপথে নামে এবং নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে তাদের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল কেন্দ্রীয় বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপিকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। কারণ বিএনপি জনগণের দল।

‘রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করবেন না’— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নোংরা রাজনীতি করে না। বিএনপি একটি সম্পূর্ণ উদারপন্থি, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগই বরং সবসময় নোংরা রাজনীতি করে।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিএনপি রাজপথে নেমে এলে এবং নির্বাচনে গেলে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। এ কারণে ক্ষমতাসীনেরা বিএনপিকে ভয় পায়। তবে মির্জা ফখরুল বিএনপি এখন কঠিন দুঃসময় পার করছে উল্লেখ করে বলেন, নেতা-কর্মীরা বিপদগ্রস্ত, হামলা, মামলা, গুম-খুনের শিকার।

দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারকে রুখে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নড়াচড়া করার আগে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলে এসেছেন। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। তবে এখন সরকার কিছুটা নড়াচড়া শুরু করেছে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার নানা অজুহাতে বিএনপিকে আবারও নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। কিন্তু এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না।