বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসির দণ্ড মোস্তাকিম খুনে যাবজ্জীবন

দুই আসামিই পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও ঢাকা

সিলেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপি এ আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েছ মিয়া বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলার পূর্ব মধুহাটি গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই রাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান কয়েস মিয়া। ওই রাতেই তিনি স্ত্রী সুলতানা বেগমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সুলতানার মা সুন্দর বিবি মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর কয়েস মিয়াকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, মামলার ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি কয়েস মিয়ার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন। কয়েস মিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের বাসিন্দা মোস্তাকিম হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহম্মেদ ছুটু। তিনি মৃত আহম্মেদ নাউয়া ওরফে শহিদ নাপিতের ছেলে। রায় ঘোষণার আগে থেকে তিনি পলাতক। রায়ে বলা হয়েছে, জামিনে থাকা এই খুনি আসামির ভয়ে মামলার এজাহারকারীসহ অন্য সাক্ষীরা আদালতে হাজির হননি। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে আরও হত্যা মামলা, অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা, দুটি অস্ত্র মামলাসহ মোট সাতটি মামলা বিচারাধীন। ফলে এই আসামি যে একজন খুনি, অস্ত্রবাজ এবং অপরাধী, এতে আদালতের কোনো সন্দেহ নেই। মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় জেনেভা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে শাহজাহান রোডে নিজের খাবারের দোকানে বসে খাচ্ছিলেন মোস্তাকিম। এ সময় তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা এস এম হাশিম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি মাসুদ আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মাহফুজুর রহমান লিখন জানান, রায় ঘোষণার আগে মোট আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পলাতক আসামি মাসুদ আহম্মেদ ছুটুর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর