বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ রুটে বাস অপারেটর নিয়োগে স্থিতাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচটি রুটে বাস অপারেটর নিয়োগের জন্য দেওয়া টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের ১৫ ধারা অনুসরণ না করেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তাই ওই টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাই কোর্ট। এখন এ ক্ষেত্রে আর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। আদালতে বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। আদালতে আবেদনকারী যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আন্তর্জার্তিক বাস রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্ত অনুযায়ী ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে নাস্তাসহ ১১ ডলার (প্রায় ৯২০ টাকা) ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিসহ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। এতে এই রুটে প্রতিদিন যাতায়াতকারী প্রায় ৮০০০ যাত্রীর স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বাস রুটটি চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় পরবর্তীতে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গোয়াহাটি-ঢাকা রুটসমূহ চালু হলে এসব রুটে এসি/নন এসি বাসের ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় অপারেটর প্রতিষ্ঠানসমূহ ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। জানা গেছে, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচটি রুটে অসম প্রতিযোগিতামূলকভাবে অপারেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্যকে আরও বেশি উসকে দেবে এমন আশঙ্কা থেকে হাই কোর্টে রিট করা হয়। রিটের শুনানি করে ২৩ জুলাই ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে পাঁচটি রুটে বাস অপারেটর নিয়োগে দেওয়া টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করে। একই সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক বাস রুটে প্রটোকলের শর্ত লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে’ সরকারের কাছে যাত্রী কল্যাণ সমিতির করা আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনজীবী আলতাফ হোসেন বলেন, হাই কোর্টের ওই আদেশের পরে ২ আগস্ট চিঠি দিয়ে আবেদন নিষ্পত্তি করার কথা মোজাম্মেল হককে জানায় বিটিআরসি। এর মধ্যে ৩০ আগস্ট বিটিআরসি টেন্ডার ওপেনিং কমিটির মিটিং করে।

মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীদের দুটি বাস নিয়ে মতিঝিল ডিপোতে হাজির থাকতে বলা হয়। কিন্তু আইন অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিক নয় দাবি করে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর