শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

তারা যেন নিরাপত্তা হুমকিতে না পড়ে

——— শাহদীন মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গারা যেন নিরাপত্তা হুমকিতে না পড়ে সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ‘আমরাও রোহিঙ্গা’ শীর্ষক এক সংহতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ সভার আয়োজন করে।

শাহদীন মালিক আরও বলেন, বন্যার্তরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারলেও রোহিঙ্গারা তা সহজে পারবে না। এটাই হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যার পার্থক্য। এখানে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। যেখানে সহিংসতা হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক আইন, যুদ্ধ আইন, কার কী ভূমিকা, সেগুলো কতটা গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্যতা- সেসব নাগরিক সমাজের চর্চার বিষয় হতে পারে। সভায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ, সেবা ও প্রত্যাবর্তন নিয়ে রামরু একটি প্রস্তাব দেয়। রামরুর চেয়ারপারসন তাসনিম সিদ্দিকী এটি তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, ত্রাণ ও পুনর্বাসনে নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রুত একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা দরকার। নাগরিক সমাজের জ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বয় কমিটি করতে হবে। আরও লোকবল নিয়োগ দেওয়াসহ শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সেলিং করাতে হবে। নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও বলা হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘ শরণার্থী-সংক্রান্ত হাইকমিশনের নির্বাহী পরিষদ ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক তত্পরতা জোরদার, আন্তর্জাতিক প্রচারণার পাশাপাশি শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং এ ব্যাপারে ভারত ও চীনের বর্তমান অবস্থান পরিবর্তনের জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলা হয়। জাতিসংঘ শরণার্থী-সংক্রান্ত হাইকমিশনের সাবেক কর্মকর্তা মো. মহিউস সুন্নাহ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু এ দেশের নয়, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা চাই, সারা বিশ্ব তাদের সভ্যতার দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসুক। রামরুর জ্যেষ্ঠ গবেষক জালালউদ্দিন শিকদার বলেন, ভূমি মাইন ব্যবহারের বিপক্ষে যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা কাজ করে, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মিয়ানমারের মাইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করছে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকেও এগিয়ে আসতে হবে। এই নিগৃহীত জাতিগোষ্ঠী যাতে মর্যাদার সঙ্গে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।

সর্বশেষ খবর