নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পর এবার গার্মেন্ট শিল্পের ব্যবসায়ীরা নতুন আবদার জানিয়েছেন সরকারের কাছে। তারা চাইছেন, তাদের যেন রপ্তানি আয়ের ওপর নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। বর্তমানে পণ্যের উৎপাদন মূল্যের ওপর নগদ সহায়তা পাচ্ছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা। এটি এখন আর পছন্দ হচ্ছে না। তারা এর পরিবর্তন চাইছেন। এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের এক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আরাফাত আলী বলেন, বস্ত্রের উৎপাদন মূল্যের পরিবর্তে প্রত্যাবাসিত রপ্তানি মূল্যের ওপর নগদ সহায়তা দেওয়ার আগে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। আর্থিক ক্ষতি না হলে এ সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্য নীতি) আবদুল কাইউম বলেন, প্রত্যাবাসিত মূল্যে নগদ সহায়তা প্রদান করলে উৎপাদনকারী তৈরি পোশাকের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি আদেশ সংগ্রহের প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। এসব অভিযোগের জবাবে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা সভায় বলেছেন, সরকার ৪ শতাংশ নগদ সহায়তার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এ সহায়তা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। তাই এ হারে নগদ সহায়তা দিলে সরকারের বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে না। তা ছাড়া অতিমূল্যে রপ্তানি আদেশ সংগ্রহের যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ বর্তমানে বাজারটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। সেখানে অতিমূল্যে রপ্তানি আদেশ সংগ্রহ করার বিষয়টি অবান্তর। তা ছাড়া এ ধরনের সহায়তার ক্ষেত্রে আগের মতোই অডিট করার সুযোগ থাকবে। গত জুনে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মোশফেকা ইকফাতের সভাপতিত্বে এই সভাটি হয়, যার কার্যবিবরণী সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এম আবদুর রউফ বলেন, আমরা সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেই, এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেয় কোন খাতকে কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায়।