মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতনের টাকা কোম্পানির পকেটে

ওসমানী মেডিকেলে জিম্মি রোগীরা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। নিয়োগদাতা কোম্পানি বেতন না দেওয়ায় এসব কর্মচারী হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বখশিশের নামে অর্থ আদায় করছেন। এসব কর্মচারীর কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যেন অসহায়। তাদের দাবি, হাসপাতালে স্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে এই বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

সিলেট বিভাগের কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। কিন্তু চিকিৎসা নিতে এসেই রোগী ও তাদের স্বজনদের উেকাচ দিতে হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন ফটকে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড ও ওয়ার্ডের কর্মচারীদের। টাকা না পেলে দুর্ব্যবহার করে ফটক থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় রোগীর স্বজনদের। অনেক সময় হাসপাতালের কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হন রোগীর স্বজনরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওসমানী মেডিকেলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ১৮০ জন কর্মী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। যমুনা স্টার সেভ গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে কর্মচারী সরবরাহের দায়িত্ব পায়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এ কোম্পানি ১৮০ জন কর্মচারীকে মাসিক মাত্র ১ হাজার ৪০০ টাকা বেতন ধরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। এত কম টাকায় কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ওই সময়ই প্রশ্ন ওঠেছিল। দিনে মাত্র ৪৬ টাকা বেতনে নিয়োগপ্রাপ্তরা অনিয়মে জড়িয়ে পড়বে, এরকমটাই ধারণা করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর ১১ মাস ধরে এসব কর্মচারীর বেতন পরিশোধ করছে না যমুনা স্টার। এ কোম্পানি হাসপাতাল থেকে বেতন উত্তোলন করলেও সেটা কর্মচারীদের হাতে পৌঁছায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গত ১১ মাস তারা যমুনা স্টার কোম্পানির কাছ থেকে বেতন পাচ্ছেন না। উপরন্তু প্রতি সপ্তাহেই কোম্পানিকে টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন বিভাগ ভেদে টাকার অঙ্কও কম-বেশি হয়ে থাকে। টাকা না দিলে কিংবা কোম্পানির বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করলে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়।

 

সর্বশেষ খবর