রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রশাসনের চাপে এখন রাতে জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি বললেন শিক্ষাবিদরা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ঘড়িতে তখন রাত ৮টা। নগরীর আহসান আহমেদ রোডে কোচিংগুলোর সামনে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভিড়। স্থানীয় প্রশাসনের কড়াকড়িতে দিনের বেলায় এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় সন্ধ্যা ও রাতে শুরু হয়েছে পাঠদান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানকার বাসা-বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে ডজনেরও বেশি কোচিং সেন্টার চলছে। তবে সন্ধ্যার পর বরাবর নীরবতা নেমে আসত। এখন রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত স্কুলের পোশাক পরা ছেলে-মেয়েদের দেখা যায়। একই অবস্থা নগরীর শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, খানজাহান আলী রোড ও সাউথ সেন্ট্রাল রোপবা কোচিং সেন্টার এলাকাগুলোতে। জানা যায়, খুলনায় স্কুল চলাকালীন কোচিং বাণিজ্য বন্ধে অনড় অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। আর শিক্ষা কর্মকর্তারা চাইছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে যথাযথ পাঠদান। ফলে সময়সূচি পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলো। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, খুলনা অঞ্চলের পরিচালক টিএম জাকির হোসেন বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো অভিভাবকদের কাছে মানসিক ব্যাধির মতো। তাদের ধারণা কোচিংয়ে না দিলে ছেলেমেয়েরা ভালো ফলাফল করতে পারবে না। অনেকে স্কুল বাদ দিয়েও কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীকে স্কুলমুখী করতে কোচিং বন্ধে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন।

এদিকে খুলনা কোচিং ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা কাজী এমএ জলিল বলেন, কোচিং কখনোই স্কুলের প্রতিপক্ষ নয়, শিক্ষা সহায়ক সংগঠন। সুষ্ঠু নীতিমালার আওতায় এনে কোচিং পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। তবে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান জানান, কোনো অবস্থায় স্কুল চলাকালীন কোচিং চালাতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সবার সহযোগিতা  চেয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর