রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রায় পড়ে ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা : মন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছি। যতক্ষণ আমাদের এ পরীক্ষা শেষ না হবে ততক্ষণ আমরা আইনি প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত যেতে থাকব। রায় পড়া শেষ হলেই ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা এ নিয়ে রিভিউ আবেদন করব।’

তিনি গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নবনির্মিত চার তলা ভবন উদ্বোধন ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শেষে কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে ষোড়শ সংশোধনী এনেছিলাম। ’৭২-এর সংবিধানে যা ছিল এই ষোড়শ সংশোধনীতে দাঁড়ি-কমাটা পর্যন্ত তাই আছে। সে কারণে উনারা হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দুটি মামলা করে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দিলেন। এ মামলা এখনো আছে এবং সংসদ তার অভিমত প্রকাশ করেছে যে এ মামলা শেষ আইনি চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত যাবে। এ মামলায় আমরা আবার বিজয়ী হব।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সু চি সরকার রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করার যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। নিরাশ্রয় রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য ও আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ দেশ হারানোর ব্যথা অনুভব করতে পারে। ’৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের পৈশাচিকভাবে বাঙালি নিধন আমরা ভুলিনি।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে মিয়ানমার সরকার ধিকৃত হয়েছে। সুতরাং রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা তাও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’ কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে এম বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এম জি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার জীবন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম, কসবা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. তসলিম মিয়া। পরে মন্ত্রী উপজেলা প্রশাসন ও মত্স্য অধিদফতর আয়োজিত উপজেলা পরিষদ পুকুরে পোনা অবমুক্ত করেন। তা ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদফতর আয়োজিত উপজেলার ২৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩টি করে ফলদ ও বনজ গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করেন। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৩ জনের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরণ করেন মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর