শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেড় বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি দুই হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশার

চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দীর্ঘ দেড় বছর ধরেই বোঝা টানছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীলরা। দেড় বছরেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় দুই হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে ট্রাফিক বিভাগ। চট্টগ্রামের সদরঘাট ট্রাফিক অফিস ও মুনছুরাবাদের ডাম্পিংয়ে পড়ে থাকা এসব ব্যাটারিচালিত রিকশার কোনো ধরনের আইনগত সমাধান না হওয়ায় দিনের পর দিন রোদে পুড়ছে আর বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। তবে সম্প্রতি এসব রিকশার বিষয় নিষ্পত্তির জন্য আদালতে তালিকা প্রেরণ (স্বারক নং- ২০১৭/৫৭৫-তারিখ-২৪.০৮.১৭) করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় বছরে চট্টগ্রামের ট্রাফিক বিভাগ ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করেছে ১ হাজার ৯৪৪টি। এদের মধ্যে সদরঘাট ও মুনছুরাবাদের ট্রাফিকের উত্তর বিভাগে ১২৫৪টি ও বন্দর ট্রাফিকে ৬৯০টি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করেছে। চট্টগ্রামের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. মহিউদ্দিন খান বলেন, এসব ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ইতিমধ্যে আদালতে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলেই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবেক কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ী নেতা জামাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে অনেক দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। প্রশাসনের চিহ্নিত কিছু লোকের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে এসব অবৈধ রিকশা নগরীতে চলাচল করে আসছে। তবে বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও এসব রিকশা এখন পর্যন্ত নগরীতে চলাচল করছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ জুলাই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের রায় দেয় উচ্চ আদালত। এরপর ৩১ অগাস্ট থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নগর পুলিশ। এরপর তারা উচ্চ আদালতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৬ মাসের জন্য রায় স্থগিত করে। ১৯ মার্চ নগর পুলিশের এক সভায় রিকশা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের তিন দিন সময় বেধে হয়। এরপর ২৩ মার্চ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় পুলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর