মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাত গুণীজনকে ঢাবি অ্যালামনাই সম্মাননা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (মরণোত্তর)-কে সম্মাননা ও ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক ২০১৭’ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের এ সম্মান জানানো হয়।

রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই গুণীজনদের মধ্যে স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠান আয়োজনে যৌথভাবে উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি হল ও ২৬টি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। আজীবন সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপকরা হলেন— শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. সুলতানা সারওয়াতারা জামান, দর্শন বিভাগের ড. আবদুল মতীন, ইংরেজি বিভাগের ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ড. আনিসুজ্জামান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ড. নাজমা চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের ড. আবুল কালাম আজাদ। ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাবেক এই বিচারপতির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোই নয়, জ্ঞানের সুবিস্তারেও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান চর্চায়ই সীমাবদ্ধ ছিল না, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ও সচেতনতায় সর্বাগ্রে ছিল।

পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব হবে আপনাদের উপদেশ, মতামত, জীবনাদর্শকে আমার ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠু-সুন্দর নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করা। তিনি আরও বলেন, মানবিক মূল্যবোধ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকেই মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া পৃথিবীতে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যারা রক্ত দিয়ে একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সফল সংগ্রাম করেছে। যেখানে রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে।

সর্বশেষ খবর