মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

পূর্বাচলে নির্মাণ করা হবে ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট : মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের শতকরা ৭২ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে এবং দেশের মোট ঘরের ৮১ ভাগ গ্রামে অবস্থিত। এই ৮১ ভাগ ঘরের মধ্যে ৮০ ভাগই নিম্নমানের কাঠামো। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যত্রতত্র বাড়িঘর নির্মাণ করায় প্রতিদিন প্রায় ২৩৫ হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে দেশ খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে। তিনি বলেন, রাজউক, সিডিএ, কেডিএ, আরডিএ আবাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আগে সব মানুষের বিষয়ে গুরুত্ব দিত না। এসব প্রতিষ্ঠানকে সবার জন্য আবাসন গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজউক উত্তরায় ১৫ হাজার, ঝিলমিলে ১৪ হাজার ও পূর্বাচলে প্রায় ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করবে। বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গ্রামে পৈতৃক ভিটায় বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে। এজন্য ২ থেকে ৩ ভাগ সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। হাউস বিল্ডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স করপোরেশন বা অন্যান্য ব্যাংক এ ঋণব্যবস্থা চালু করতে পারে। কৃষিজমি রক্ষায় প্রয়োজনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মসূচি গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃৃত করা হবে। পৈতৃক ভিটায় বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সংস্থা সহায়তা দেবে। শহরমুখী জনস্রোত রোধ করতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ আবাসিক প্লট নির্মাণ করে। এসব এলাকায় সব শ্রেণির মানুষের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, বস্তিবাসীর জন্য উন্নত আবাসন গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক একটি ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারা আরও বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ মিরপুরের বাউনিয়ায় বস্তিবাসীর জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করছে। এখানে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এ বছরই ৫৫০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. খন্দকার আখতারুজ্জামান, রাজউক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, সুপ্রিম কোর্ট হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। এবারের বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘গৃহায়ণ নীতিমালা : সাধ্যের আবাস’।

সর্বশেষ খবর