সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাড়ে তিন কোটি টাকার চেকসহ সিন্ডিকেটের চারজন গ্রেফতার

মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার সাড়ে তিন কোটি টাকার চেকসহ মেডিকেল ও   ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সিন্ডিকেটের আরও চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে পাঁচ সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র ও ২২ জন ছাত্রের উচ্চ  মাধ্যমিক পাসের মার্কশিট, ছয়টি স্বাক্ষর করা ব্ল্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ডা. মো. সামছুর রশীদ দিপু (২৬), সাবিনা ইয়াসমিন তিন্নি (৩১), রাশেদুজ্জামান রিপন (২৬) ও সোলায়মান হোসেন ওরফে মেহেদী (৩৩)। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক, শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের পরিচালক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আলিমুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তখন হয়তো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম ১০ লাখ টাকার স্বাক্ষর করা চেক, পরীক্ষার্থীর একাডেমিক মার্কশিট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র আগেই নিয়ে নিত সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরীক্ষার কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা আগে সরবরাহ করা হতো প্রশ্নপত্র। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি এড়াতে প্রতারক চক্রটি ই-মেইল, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করত। কলাবাগান থানার মামলায় গ্রেফতার সহকারী দীপঙ্কর চন্দ্র সরকার (৪০) জানিয়েছেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ইউনাইটেড হাসপাতালের ডা. মো. সোলায়মান হোসেন ওরফে মেহেদী, ডা. সামছুর রশীদ দিপু (২৬), ডা. অনিক, ডা. আসাদ শুভেচ্ছা কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. লিটন। সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম চেক রাখা হতো দীপঙ্কর, ডা. মেহেদী ও সাবিনা ইয়াসমিন তিন্নির কাছে। পরবর্তীতে তা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ভাগ অনুযায়ী দেওয়া হতো।

র‍্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দীন ফারুকী বলেন, পর্যায়ক্রমে চারজনকে ৫ সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র, তিন কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকার অগ্রিম চেক, পরীক্ষার্থীদের একাডেমিক মার্কশিটসহ গ্রেফতার করি।

সর্বশেষ খবর