মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

৮৬ টাকায় শুরু বসুন্ধরা পেপারের বিডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮৬ টাকায় শুরু বসুন্ধরা পেপারের বিডিং

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বসুন্ধরা পেপার মিলসের প্রতিটি শেয়ার ৮৬ টাকা দর দিয়ে আইপিওর বিডিং শুরু হয়েছে। শুরুতে এক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিটি ৮৬ টাকা দরে ২ লাখ ৯০ হাজার ৬০০টি শেয়ার কেনার জন্য বিডিং করেন। গতকাল বিকাল ৫টায় এ ইলেকট্রনিক বিডিং শুরু হয়। যা চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ইলিজিবল ইনভেস্টর অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নেবেন। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬১০তম সভায় কোম্পানিটির আইপিওর বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলসকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য গত ২৭ আগস্ট বিডিংয়ের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করবে। কাট-অফ প্রাইস তথা যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের চেয়ে ১০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইবে কোম্পানিটি। বিএসইসির অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা নিতে অর্থাৎ আইপিও আবেদনের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। উত্তোলিত অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং স্থাপন করবে কোম্পানিটি। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ৫০৮ কোটি টাকা তুলেছিল জ্বালানি খাতের একটি কোম্পানি। এরপর ২০০ কোটি টাকার বেশি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেনি। সে হিসেবে বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে বসুন্ধরা পেপার মিলস। বসুন্ধরার কোম্পানিটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল ‘এ’ (এএএ) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় একই গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এই খাতে সাতটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো মেঘনা সিমেন্ট।

কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভসহ) হয়েছে ৩০.৪৯ টাকা, শেয়ার প্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু (রিভ্যালুয়েশন রিজার্ভ ছাড়া) হয়েছে ১৫.৭৯ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ) হয়েছে ১.৪৬ টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে গত বছরের ৩০ জুন রোড শো সম্পন্ন করে। ৫০০ কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানিটিতে ১৪৭ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। এরপর ২০১১ সাল থেকে ২১টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে আসছে।

সর্বশেষ খবর