শিরোনাম
বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে দেশের প্রথম ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ২৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৪৭২ কোটি ৮ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, আধুনিকায়ন এবং দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থাপিত দেশের প্রথম ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মিত হতে যাচ্ছে ঢাকার কেরানীগঞ্জে। সে লক্ষ্যেই ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে : ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প, পুলিশ বিভাগের ৫০টি হাইওয়ে আউটপোস্ট নির্মাণ প্রকল্প (সংশোধিত), ঢাকার নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প, বরিশাল জেলার সদর উপজেলায় কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প, ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ প্রকল্প, রাজাপুর-পিরোজপুর কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এবং জিঞ্জিরা-কেরানীগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। সভার শুরুতে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধী দেওয়া হয়েছে, সেজন্য তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুল তুলে দেন। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সমস্যায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক বিবেচনার প্রশংসা করে আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দিয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান নিয়ে জাতিসংঘে জোরালো ভূমিকা পালন করে তিনি সারা বিশ্বকে জাগিয়ে তুলেছেন। এই অবদানে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর