বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই

কালের কণ্ঠের গোলটেবিলে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষা উন্নয়নের চাবিকাঠি। আর দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সুনিশ্চিত উন্নতির প্রধান চাবিকাঠি হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইডব্লিউএমজিএল মিলনায়তনে ‘জাতীয় উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিলে এসব কথা বলেন বক্তারা। দৈনিক কালের কণ্ঠ ও টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি) এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।

কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এতে আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রাইভেট পলিটেকনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম মাহবুব, টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশের (টেকবিডি) প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আজিজ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম, ওয়ালটন-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আলম আল মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মালেক, বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি, মেট্রোসেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ       

শাহজাহান আলম সাজু, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (এনআইইটি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল আলিমও বক্তব্য দেন এই গোলটেবিলে। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেকবিডির সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. ইমরান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্যে বলেন, কারিগরি শিক্ষায় আগে শিক্ষার্থীদের কোনো আগ্রহ ছিল না। এখন দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরিতে পড়ছে। ২০২০ সাল নাগাদ এই হার ২০ শতাংশে উন্নীতের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ বাড়াতে চার শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও ৫৮১ জনকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কারিগরিতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে সব শিক্ষার্থীকে দেড় হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ১০০ উপজেলায় ১০০টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৮৯ উপজেলায় আরও ৩৮৯টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন করা হবে। কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে ২৩টি জেলায় বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। নাহিদ জানান, কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে আটটি বিভাগীয় শহরের প্রত্যেকটিতে একটি করে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হবে।

অন্য বক্তারা বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তারা কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর