নতুন ধার্য করা গৃহকর নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও নাগরিক সংগঠনগুলো অনড় অবস্থানে। এ নিয়ে কোনো পক্ষই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরেনি। তবে নতুন গৃহকরের বিপরীতে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বর্ধিত গৃহকরে কারও আপত্তি থাকলে রিভিউ বোর্ডে আপিল করার পরামর্শ দেন চসিক মেয়র। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এক সমাবেশে ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে গৃহকর নিয়ে বিবাদ-বিতর্ক ও উত্তেজনা বাড়ছেই। বুধবার চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যা প্রকাশ করেছি তা প্রাথমিক মূল্যায়ন। রিভিউ বোর্ডে আপিলের মাধ্যমে ধার্যকরা কর অনেক কমে যাবে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ রিভিউ বোর্ডের ওপর ভরসা না রেখে এখন থেকেই নানাভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। আমি বার বার বলেছি, রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে কর পুনর্মূল্যায়নের জন্য।’
এদিকে, করদাতা সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত গতকালের আগ্রাবাদ লাকী প্লাজার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে— আজ নগরের জালালাবাদ ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও, রবিবার নিউ মার্কেট চত্বর ও বুধবার অলংকার মোড়ে জনসমাবেশ এবং ২৬ অক্টোবর থেকে ‘ওয়ার্ড অভিযাত্রা’ নামে ৪১টি ওয়ার্ডে কর্মসূচি পালন। পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আবসার বলেন, ‘আমরা ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এরপর নতুন করে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা অবস্থানে অটল থাকব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’জানা যায়, গৃহকর নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে। এক্স কাউন্সিলর ফোরামের সদস্য সচিব মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘আইনের জন্য জনগণ নয়, জনগণের জন্যই আইন। তাই আমাদের দাবি হলো জনস্বার্থে প্রয়োজনে কর নিয়ে সিটি করপোরেশনের বিধিটি সংশোধন করা হোক।
