রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আট বছর ধরে কাজ ছাড়াই বেতন উত্তোলন চলছে

ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

প্রতিষ্ঠার আট বছর পেরিয়ে গেলেও ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারেনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে গবেষণার জন্য পাঁচ বছর আগে ২৩ জন গবেষক ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত তারা গবেষণা করতে পারেননি। ফলে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারী বসে বসে বেতন-ভাতা ভোগ করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জানান, প্রতিষ্ঠানটি স্থবির অবস্থায় ছিল এটা ঠিক। তবে চলতি বছরের ১৪ জুন তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটি সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গবেষণার জন্য যে ২৩ জন গবেষক ভর্তি হয়েছিলেন, তারা গবেষণার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শিগগিরই  শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, আট বছরে আর্থিক ও গবেষণার যে ক্ষতি হয়েছে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এটি পরিচালনার জন্য একজন পরিচালকসহ ৯ কর্মকর্তা ও ১২ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। গঠন করা হয় সাত সদস্যের বোর্ড অব স্ট্যাডিজ। ২০১১ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই ইনস্টিটিউটে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত হয়। দুই বছরের এমফিলের জন্য ১৯ হাজার এবং তিন বছরের    পিএইচডির জন্য ২৩ হাজার টাকা জমা দিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২৩ শিক্ষক গবেষণার জন্য ভর্তি হন। আটজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে তাদের গবেষণার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে  সে সুযোগ হয়নি। তিন বছরের পিএইচডি কোর্সের জন্য   ভর্তি হয়েছিলেন রংপুরের কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তানজেউর রহমান। তিনি বলেন, উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য তিন বছরের ছুটি নিয়েছিলাম। ছুটি শেষ হলেও গবেষণা করতে পারিনি।

সর্বশেষ খবর