সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কারও ক্ষমতা নেই প্রার্থীদের হলফনামা বিধান বাতিলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারও ক্ষমতা নেই প্রার্থীদের হলফনামা বিধান বাতিলের

নির্বাচনে প্রার্থীর দেওয়া হলফনামা বিধান বাতিল প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। সংগঠনটি সব প্রার্থীর হলফনামা যাচাই-বাছাই ও হলফনামায় আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার দাবি জানায়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি বাতিলের ক্ষমতা কারও নেই।

গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুজন হলফনামা বিধান বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে। সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। বক্তব্যে বলা হয়, হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এটি বাতিলের ক্ষমতা কারও নেই। নির্বাচন কমিশনেরও না। এই প্রস্তাব মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। আরও বলা হয়, বর্তমানে যে হলফনামা ব্যবহার করা হয়, তা অসম্পূর্ণ এবং ভোটারদের ক্ষমতায়িত করতে হলে আরও কিছু বিষয় যোগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে হলফনামার ছকে পরিবর্তন এবং তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নিতে হবে।

হলফনামায় বিধানকে আরও কীভাবে কার্যকর করা যায়— সে ব্যাপারে সুজন কিছু সুপারিশ করে। প্রার্থীর বয়স, বিদেশে নাগরিকত্ব আছে কি না, আয়ের উেসর বিস্তারিত বিবরণ, প্রার্থীদের ওপর কারা নির্ভরশীল, তার বিস্তারিত বিবরণ এবং সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কি না, তা ক্ষতিয়ে দেখার বিষয়ে সুজন গুরুত্ব দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা আছে, কিন্তু ভারতের নির্বাচন কমিশনের তা নেই। আমাদের নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী। তিনি আরও বলেন, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে কমিশন যাচাই-বাছাই ও বিধি প্রণয়নে আরও কিছু পরিবর্তন আনতে পারে। কারণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এটা অপরিহার্য।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের  সহসভাপতি কাজী এবাদুল হক এবং সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, হাই কোর্ট ২০০৫ সালে এক রায়ে নির্বাচন কমিশনকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী   সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আট ধরনের তথ্য হলফনামা আকারে সংগ্রহ এবং তা জনগণের জন্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। গত ৮ অক্টোবর সংলাপে জাতীয়    সমাজতান্ত্রিক দল বিধানটি বাতিলের প্রস্তাব করে।

 

সর্বশেষ খবর