শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রেলের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, তোলপাড়

ফেসবুকে ভাইরাল আগের রাতেই

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

রেলের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, তোলপাড়

পরীক্ষা শুরুর আগেই রেলের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর বিভিন্ন কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগের দিন গভীর রাতেই ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গভীর রাতে এসব ‘প্রশ্নপত্র ভাইরাল’ হয়েছে। তবে এর আগেই ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, পাহাড়তলী, টিকিট প্রিন্টিং প্রেস এলাকা, ফয়’স লেক, সিআরবি, রেয়াজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ‘হাতে লেখা’ প্রশ্ন বিক্রি করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন রেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরীক্ষা শেষে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর দেখি অনেকেই দ্রুত পরীক্ষা শেষ করেছেন। তারা নাকি প্রশ্ন পেয়েছেন। আবার অনেকেই রাতে ১০ হাজার ও সকালে ৫ হাজার টাকায় প্রশ্ন পেয়ে গেছেন। হাতে লেখা এ প্রশ্নগুলো পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। তবে যারা প্রশ্ন পেয়েছেন তারাই পরীক্ষায় পাস করবেন।’

এ পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান অনেকে। প্রশ্ন পাওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে প্রশ্ন পেয়েছি। দালালদের মাধ্যমে নেওয়ায় ১২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। গাড়ি ভাড়া লেগেছে ৭৫০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এক বড় ভাই রেলের কর্মচারী। তিনি এ বিষয়ে আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। তার সঙ্গে ওপরের অনেক লাইন আছে।’ পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কেটে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেলের যে কোনো ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়মের মাধ্যমে পরিচালনা করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া আছে। এর পরও কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ শুনেছি। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’

সর্বশেষ খবর