শিরোনাম
শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

উদ্ধার হচ্ছে চট্টগ্রামের ৫৭ খাল

ছয় জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকৌশলীদের

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম


উদ্ধার হচ্ছে চট্টগ্রামের ৫৭ খাল

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭টি খাল ড্রেজিং ও পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ লক্ষ্যে খালগুলোকে ছয় জোনে ভাগ করে ছয়জন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল এ সংক্রান্ত চিঠি ছয় প্রকৌশলীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে  নগরের জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। তাই এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে প্রতিবছরের ন্যায় খালগুলো পরিষ্কার ও নাব্যতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মতে ছয়টি জোনের ১৪৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫৭টি খাল থেকে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৯৩ ঘন মিটার মাটি উত্তোলন করা হবে। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের খালগুলো পরিষ্কার ও খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে খালগুলোকে ৬টি জোনে ভাগ করে ছয়জন প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আশা করি আগামী বর্ষা মৌসুমে এর সুফল নগরবাসী পাবেন।’

পরিষ্কার ও ড্রেজিং করা খালগুলোর মধ্যে রয়েছে, পতেঙ্গা নিজাম মার্কেট খাল ১১ নম্বর থেকে ১৬ নম্বর, গুপ্ত খাল, রুবি সিমেন্ট খাল, নয়ার হাট খাল, ছাগলনাইয়া খাল, সৈকত খাল, স্লুইচ গেট ১, ২ ও ৮ নম্বর খাল, মহেশখাল, ডাইভারসন খাল, মহেশখালী খাল, নাসির খাল, রামপুর খাল, গয়নার ছড়া খাল, পাকিজা খাল, কাট্টলী খাল, কুমার খাল, মোগলটুলি খাল, সদরঘাট খাল ১ ও ২, ফিরিঙ্গি বাজার খাল, টেকপাড়া খাল, কলাবাগিচা খাল, মরিয়মবিবি খাল, চাক্তাই খাল, বদরখালী খাল, জামালখান খাল, চট্টশ্বরী খাল, হিজড়া খাল, চাক্তাই ডাইভারশন খাল, রাজাখালী খাল, বির্জা খাল, ডোমখালী খাল, বালুখালী খাল, গেটখালী, মির্জা খাল, ত্রিপুরা খাল, শীতল ঝরনা খাল, বামুনখালী শাহ খাল, উত্তরা খাল, নোয়া খাল, ফরেস্ট খাল, কৃষ্ণখালী খাল, খন্দখিয়া খাল, কুয়াইশ খাল ও যুগীরখোল খাল। 

জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জন্য নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বর্ষার এক মৌসুমেই চট্টগ্রাম নগরে ছয়বার জলাবদ্ধতা হয়। তা ছাড়া নগরের আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়াসহ নগরের অনেক নিম্নাঞ্চল টানা দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। বর্ষার পানির সঙ্গে যোগ হয় জোয়ারের পানিও। গত বর্ষা মৌসুমে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের কয়েকটি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য নৌকা কেনে। ওই এলাকার মানুষ জোয়ার-ভাটা ও বৃষ্টির পানির অবস্থা বুঝে বাসা থেকে বের হতে হয়েছে। পক্ষান্তরে, বর্ষা মৌসুম পানি উঠে এমন এলাকায় বর্তমানে মানুষ বাসা ভাড়াও নিচ্ছেন না।

সর্বশেষ খবর