রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নামেমাত্র

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নামেমাত্র

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে তিনজন দগ্ধ হন। শরীরের ৫০-৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আইসিইউ না থাকায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের নিতে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি ইস্পাত কারখানায় লোহা গলানোর চুল্লির বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে ছয়জনের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। কিন্তু চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না থাকায় সেখানে একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনকে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। এভাবেই চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আগুনে পোড়াসহ এ জাতীয় রোগের প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে নিতে হয় ঢাকায়। অনেক সময় নেওয়ার পথেই মারা যাচ্ছেন রোগী। আবার সেবা না পেয়েও কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন চট্টগ্রামেই। কার্যত চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকলেও সংকট-সমস্যায় সেখানে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না। ফলে এটি হয়ে উঠেছে নামমাত্র বার্ন ইউনিট। সংশ্লিষ্টরা জানান, বার্ন ইউনিটে উন্নত চিকিৎসার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আইসিইউ। এর সঙ্গে প্রয়োজন আধুনিক চিকিৎসা উপকরণ। কিন্তু এসব না থাকায় আগুনে পোড়া রোগীদের চমেকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে না।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর