বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৯ মামলা চলছে

———————————— আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ ৯টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার ৭ বছর ও ১০ বছর করে সাজা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কাফরুল থানায় দায়ের হওয়া মামলা (নং ১৭/২০০৭) চলমান রয়েছে। এই মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন। মামলাটি আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। একই সঙ্গে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা (নং ২৯/১১ ও ৩০/১১) ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা (নং-১৫৫৮২/১৭) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার সিএমএম কোর্টে চারটি মানহানি মামলা (৪৯৯/৫০০ ধারায়) চলমান রয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী আরও জানান, তারেক রহমান একটি মামলায় নিম্ন আদালতে খালাস পেলেও ওই মামলায় হাই কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল : আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি বিচারাধীন মামলা চলমান রয়েছে।

এসব মামলার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৪ হাজার ৫৪৬টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ হাজার ৩০টি, রাজশাহী বিভাগে ১৬ হাজার ১২৮টি, খুলনা বিভাগে ১৯ হাজার ১৩৮টি, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজার ১৬৩টি, সিলেট বিভাগে ১১ হাজার ৮০৭টি এবং রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৭৩৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আরও ৮৯৩ ট্রাইব্যুনাল : আইনমন্ত্রী জানান, দেশে আরও ৮৯৩ ট্রাইব্যুনাল ও আদালত প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এর মধ্যে রয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আরও পাঁচটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল, ৩টি শ্রম আদালত, ১১২টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ১৫৯টি যুগ্ম-জেলা জজ পদ সৃষ্টি, ১৯টি পরিবেশ আদালত, ৬টি পরিবেশ আপিল আদালত, ২১৪টি সহকারী জজ আদালত সৃষ্টির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন আদালতে জমে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য বিচারকের শূন্য পদ পূরণসহ নতুন পদ সৃষ্টির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর