শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

শঙ্কায় ২৮৯ কোটি টাকার প্রকল্প

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের খাল খনন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল’ পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। ২০১৪ সালের ২৪ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। তবে তিন বছর আট মাস পার হলেও প্রকল্পের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গ্রহণ করে একটি মেগাপ্রকল্প। প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল সংস্কারের কথা থাকলেও নতুন খাল খনন অন্তর্ভুক্ত নেই।  ফলে অনুমোদনের সাড়ে তিন বছর পর চসিকের খাল খনন প্রকল্পটি বাতিল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল প্রকল্পের পরিচালক ও চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে খাল সংস্কারের কথা থাকলেও নতুন খাল খননের বিষয়টি উল্লেখ নেই। এমতাবস্থায় চসিক নতুন খাল খনন করবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছে। হয়তো প্রকল্পটি বাতিলও হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়ে চিঠি লিখব।’ তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া অন্য কোনো কাজে টাকা খরচ হয়নি। ফলে আর্থিকভাবে চসিকের কোনো ক্ষতি হবে না। আর ভূমি অধিগ্রহণের টাকাগুলো প্রক্রিয়া করে ফেরত আনা সম্ভব হবে।’ চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের মহাপরিকল্পনায় নগরীতে নতুন তিনটি খাল খননের প্রস্তাব করা হয়। পরে জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের সুপারিশ করে। ২০১০ সালে চসিক প্রকল্পটি গ্রহণ করে। নতুন খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল-শাহ্ আমানত সংযোগ সেতু রোড-নুর নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলির হাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার, প্রস্থ ৬৫ ফুট। খালটির মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে উভয় পাশে ২০ ফুট করে দুটি রাস্তা নির্মাণের কথা ছিল। অন্যদিকে, সিডিএ ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্র্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির জন্য ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা অনুমোদন  দেয়। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সিডিএ মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর