বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঠেকানো যাচ্ছে না শিশু চুরি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শিশু চুরির ঘটনা বাড়ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মাঝমধ্যেই এসব ঘটনায় কেউ কেউ আটক হলেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। অনেক ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথাও নেই। ফলে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে নবজাতক চুরির সিন্ডিকেট। জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের লেবার রুম থেকে নবজাতক চুরি করার সন্দেহে ডাক্তারি ইউনিফর্ম পরা মো. রাজ (১৯) ও ফারজানা আকতার মনি (২৬) নামের দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর শিশু চুরি চক্রের সদস্য সন্দেহে দুজন নারীকে আটক করা হয়। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই নবজাতক চুরির ঘটনায় হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সুজন দত্ত (৩০) ও তার স্ত্রী রীনা দে (৩২) কে আটক করে র‌্যাব। অভিযোগ আছে, হাসাপাতালের ওয়ার্ড বয়, আয়া, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তরা একশ্রেণির দালালের মাধ্যমেই শিশু চুরিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। হাসপাতালকে কেন্দ  করে এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। এদিকে হাসপাতালে বসানো সিসি ক্যামেরাগুলোর অধিকাংশই নষ্ট। যে কারণে শিশু ও পণ্য চুরিসহ নানা অপরাধ ঘটলেও অনেক সময় প্রয়োজনীয় প্রমাণের অভাবে অপরাধী শনাক্ত করা যায় না। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘শিশু চুরিসহ অন্য অপরাধ দমনে আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা আছে। তবুও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এ ব্যাপারে আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি এবং নিজ নিজ দায়িত্ব কার্যকর ও সচেতনভাবে পালন করার জন্য বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ৩৭টি সিটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেকগুলোই নষ্ট। তবে এগুলো সংস্কার এবং নতুন কিছু লাগানোর ব্যাপারে আমরা দরপত্র আহ্বান করেছি। খুব শিগগিরই ক্যামেরাগুলো লাগনো হবে। তাছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে ৭০ জন আনসার নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছে। আরও ১০০ জন আনসার নিয়োগের অপেক্ষায়। আর্থিক সংস্থান মিললেই তারা নিয়োগ পাবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর