মধ্যপ্রাচ্যে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই প্রবাসে পাচার হচ্ছে মরণনেশা ইয়াবা। আর পাচারের ক্ষেত্রে বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদেরই। তবে বিমানবন্দর দিয়ে ইয়াবা পাচারের বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে যাতে অবৈধ কোনো জিনিস বাইরে পাচার হতে না পারে সে বিষয়ে আমরা সচেতন। আমাদের আধুনিক স্ক্যানার মেশিন রয়েছে। এ মেশিনকে ধোঁকা দিয়ে ইয়াবা পাচার করা সম্ভব নয়।’ জানা যায়, কয়েক বছর আগে থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ইয়াবা পাচার শুরু হয়। শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়া শ্রমিকদের হাত ধরে ইয়াবা পাচার হতো। পরবর্তীতে তা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সৌদি আরব, ওমান, কাতারে পাচার হওয়া শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে এসব ইয়াবা কিনলেও বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পর প্রতিটি এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা ধরে বিক্রি করা যায়।