রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগের

রাজধানীসহ সারা দেশে ৭ মার্চ ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। একাত্তরের ওই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন তা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় এ বছর এ দিনটি ভিন্নভাবে উদ্যাপন করতে চাইছেন ক্ষমতাসীনরা। সেই সঙ্গে নির্বাচনী বছর হিসেবে রাজপথে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্যও এই দিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করতে চায় আওয়ামী লীগ। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, ৭ মার্চের জনসভা সফল করার জন্য ফেব্রুয়ারিতেই প্রস্তুতি শুরু হয়। আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগরী উত্তর, দক্ষিণসহ দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো দফায় দফায় কর্মিসভা ও বৈঠক করছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সকালে নিউমার্কেট ও বিকালে মিরপুরে লিফলেট বিতরণ করেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে দুপুর ১২টায় ইসলামপুর ও বিকাল ৩টায় মুগদায় কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভা চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ইম্পেরিয়াল হোটেলের হলরুমে ঢাকা বিভাগের ২১ জেলা ও ৪ মহানগরীর কর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভা করেছে যুবলীগ। জানা গেছে, সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করতে রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লার নেতা-কর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা, নরসিংদীসহ রাজধানীর পাশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরী, জেলা, পাশের জেলা, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে আওয়ামী লীগ। ৭ মার্চের জনসভায় স্মরণকালের সেরা জমায়েত করে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙার আশা প্রকাশ করেছেন তারা। এ ব্যাপারে গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। আমরা দেশের রাজনীতির যে ঐতিহ্য তার অনুসরণ করছি। একসময় জনসভার প্রচারণা মাইকে হতো, তা এখন নেই। আমরা ১ মার্চ থেকে মাইকে প্রচারণা করছি। এরপর পাড়া-মহল্লায়, বাড়িতে, মার্কেটে সর্বত্রই আমরা হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে প্রচারণা করেছি। এই হ্যান্ডবিলের প্রচারণাও এখন চোখে পড়ে না।’ দলের নেতারা জানান, নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটিতে এত বড় জনসভা করার আর সুযোগ নেই। তাই এ জনসভাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাফল্য, অর্জন ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি জাতির কাছে দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দেবেন। শুধু রাজধানী নয়, ৭ মার্চ ঘিরে সারা দেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এজন্য সব জেলার দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

সূত্র জানায়, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্যও এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নিজ নিজ শক্তির জানান দিতে বাড়তি প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর এই প্রথম এ দিনটি আসছে। তাই রাজধানীসহ প্রতিটি জেলা, উপজেলায় নেতা-কর্মীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে দিনটি পালন করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আর বেশিদিন নেই। সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। সেখানে দলের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে পালন করার দায়িত্ব তাদের।

সর্বশেষ খবর