বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধুলায় মলিন চসিকের নান্দনিক স্থাপনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নান্দনিক নানা স্থাপনা নির্মাণ করেছিল। বসানো হয়েছিল আধুনিক ফোয়ারা, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, বাঘ ও দৃষ্টিনন্দন সবুজ বৃক্ষ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে ধুলায় ধূসর ও মলিন হয়ে পড়েছে স্থাপনাগুলো।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ভেন্যুতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিদেশিদের কাছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যগত সৌন্দর্য তুলে ধরতে ৫৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে। ২০১৪ সালে মন্ত্রণালয় একই কাজে আরও ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই প্রকল্পের অধীনে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মোড়গুলোয় বসানো হয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বিমানের ভাস্কর্য, ঘোড়সওয়ার, ক্রিকেটারের ভাস্কর্য, ম্যুরালসহ রোপণ করা হয় সবুজ গাছপালা। এসব বর্ণিল স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যায় কেনা হয় রাস্তার ধুলা সুইপিং গাড়ি। ভাস্কর্য ও সবুজ সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার পরিচর্যা ও ডিভাইডারের গাছ পানি দিয়ে পরিচর্যা করার কথা থাকলেও তা যথাযথ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ডিভাইডারের সবুজ বৃক্ষ হয়ে গেছে ফ্যাকাশে, মরে গেছে কোনো কোনো বৃক্ষ। বাঘের গায়ে জমেছে বালু। ভেঙে গেছে ক্রিকেটারের ভাস্কর্যের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। বিমানের ওপর পড়েছে ধুলাবালির আস্তরণ।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা বলেন, ‘সড়কের ধুলাবালি পরিষ্কারের জন্য আমাদের দুটি সুইপিং গাড়ি আছে। প্রতিটি গাড়িতে সামনে পেছনে দুটি ইঞ্জিন। এগুলো ডিজেলচালিত হওয়ায় খরচও দ্বিগুণ। গাড়িগুলো উন্নত দেশের নিরিখে তৈরি হওয়ায় আমাদের ধুলাবালির দেশে পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ ছাড়া নগরের সৌন্দর্যবর্ধন খাতে চসিকের পৃথক কোনো বড় বাজেটও নেই। তাই নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে না গাড়িগুলো। ফলে নান্দনিক স্থাপনাগুলোর পরিচর্যা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর