বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে জমকালো সমাবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে জমকালো সমাবর্তন

জমকালো নানা আয়োজনে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী আশকোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম, কোষাধ্যক্ষ মো. আনোয়ার     হোসেন বক্তব্য রাখেন। এবার সমাবর্তনে ৫ হাজার ৮৮১ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সে চ্যান্সেলর চারজন ও ভাইস চ্যান্সেলর পাঁচজনসহ ৯ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে। সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নানা রঙের বেলুন ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমে বর্ণাঢ্য চ্যান্সেলর শোভাযাত্রা বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্যে বলেন, নতুন প্রজন্মকে আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে যাতে তারা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের নিজেদের স্থান করে নিতে পারে। একই সঙ্গে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদ ও মাদক দেশ-জাতি স্থিতিশীলতার জন্য এক হুমকি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। সমাবর্তন বক্তব্যে ড. মসিউর রহমান বলেন, নতুন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে যোগ্য শিক্ষকের ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। শিক্ষক নিয়োগের নমনীয় নিয়োগ পদ্ধতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি যোগ হতে পারে। বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, শিক্ষায় গবেষণা ও জ্ঞানের ব্যবহার ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। আমাদের সেদিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাগার উদ্ভাবনের কারখানা। শিক্ষিত তরুণদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। আজকের তরুণরাই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে। দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। দক্ষতা ছাড়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। জ্ঞানভিত্তিক উত্পাদনপ্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য আবশ্যক। নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দায়িত্ব আজকের তরুণদেরই নিতে হবে। কর্মসংস্থানের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার কোনো বিকল্প নাই। নর্দানের শিক্ষার্থীদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর