শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ ১১ হাজার অটো

আড়াই মাস ধরে চলছে অবৈধভাবে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ ১১ হাজার অটো

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ২০০২ সালে চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলের জন্য ১৩ হাজার অটোরিকশা নিবন্ধন দেয়। দুই দফা বৃদ্ধির পর গাড়িগুলোর লাইফটাইম শেষ হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। টানা চলাচল করায় দুই হাজারের বেশি অটোরিকশা ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ১১ হাজার মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা চরম ঝুঁকি নিয়ে এখনো সড়কে চলাচল করছে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১৫ বছরের বেশি অটোরিকশার মেয়াদ না বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। গত ৭ মার্চ বুয়েট এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ বিআরটিএকে প্রদান করে। বুয়েটের সুপারিশের মধ্যে ছিল ‘২০০২ ও ২০০৩ সালে নিবন্ধিত যেসব অটোরিকশার নির্ধারিত মেয়াদ ১৫ বছর শেষ হয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানো এবং বিআরটিএ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত যেসব অটোরিকশার মেয়াদ বাড়িয়েছে, তারপর থেকে সেগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানো।’ যাত্রীদের অভিযোগ, ‘এমনিতেই নগরে গণপরিবহন সংকট চরমে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অটোরিকশার সংকট। এ সংকটকে পুঁজি করে অটোরিকশার  চালকদের কাছে যাত্রীরা এখন চরমভাবে জিম্মি। এমতাবস্থায় নতুন অটোরিকশা নিবন্ধন দিলে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও নিরসন হবে।’

জানা যায়, বর্তমানে অটোরিকশায় ব্যবহৃত সিলিন্ডার মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব সিলিন্ডার ব্যবহার ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শঙ্কাও আছে বলে জানা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বুয়েট এসব অটোরিকশা ১৫ বছরের বেশি ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে।

বিআরটিএ চট্টগ্রাম নগর সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল হোসেন বলেন, ‘সরকার নতুন করে অটোরিকশা নিবন্ধন দিচ্ছে না। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলোর নম্বর পরিবর্তন করে প্রতিস্থাপন করার একটা কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনো আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

চট্টগ্রাম মহানগর অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গত ৮ জানুয়ারি আদালত চট্টগ্রামে চার হাজার অটোরিকশা নিবন্ধনের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ খবর