শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি খাত নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা

জিন্নাতুন নূর, দিনাজপুর থেকে ফিরে

‘ডিসেম্বরের আগেই আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন করতে পারব। কিছু গ্রামে এখনো বিদ্যুতের সমস্যা আছে। সেটা এ বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। রংপুর নিয়ে সরকারের বড় পরিকল্পনা আছে। দিনাজপুর-রংপুর এলাকায় গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য বড় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। পেট্রোবাংলা এ বিষয়ে কাজ করছে। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুরে গ্যাসের পাইপ বসানোর জন্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ এলাকায় তেল আনার জন্য নুমালিগড় থেকে পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে।’ গতকাল দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের নির্মাণকৃত ৯ নাম্বার স্টোপ থেকে পাথর উত্তোলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ, জার্মানিয়া করপোরেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. সেরাজুল ইসলাম কাজী প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপাড়ার মাইন ফিল্ড থেকে যেভাবেই হোক উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং স্ল্যাব আকারে গ্রানাইট উংপাদন করতে হবে। এ গ্রানাইট দেশের বাইরে রপ্তানি করার পরিকল্পনাও আছে। দেশের উন্নয়নে বড় সহযোগী হতে পারে মধ্যপাড়ার এই খনিজ সম্পদ। অথচ আমাদের বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু এই খনি থেকে বর্তমানে আমরা দৈনিক মাত্র ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করছি। দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এখানকার পাথর। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে যদি আমাদের দৈনিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের টার্গেট থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর স্ল্যাব আকারে গ্রানাইট উৎপাদনের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ১২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগ বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন করে এলএনজি আমদানি হচ্ছে। ফলে গ্যাসের সমস্যা চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। উত্তরাঞ্চলে আমরা ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। কিন্তু এখন উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আমরা যমুনার তীরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে চাই।’

 

সর্বশেষ খবর