সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন জটিলতা কাটল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন জটিলতা কাটল

অবশেষে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাইখাল নতুন খাল খনন প্রকল্পের সৃষ্ট জটিলতা কাটল। প্রকল্পটির ব্যয় পুনর্মূল্যায়ন এবং খননে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হলেও একটি মেগা প্রকল্পের কারণে এটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।

জানা যায়, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা প্রকল্প এলাকার দুই মৌজার ৫টি এলএ মামলায় অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন প্রায় ২৫ দশমিক ১৬৬২ একর ভূমির সম্ভাব্য মূল্য (২০১৭ সালের মৌজা মূল্য মতে) এক হাজার ১০৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৪ টাকা নির্ধারণ করে। তা ছাড়া চসিকের ভূ-সম্পত্তি শাখা প্রকল্প এলাকার ভূমি মালিকদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। দুই মৌজার ১৮৪ জনের (প্রতিজনের বিপরীতে একাধিক অংশীদারিও আছেন) একটি তালিকা গতকাল চূড়ান্ত করা হয়।

বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাইখাল প্রকল্পের পরিচালক ও চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে খাল খনন প্রকল্প অব্যাহত রাখতে প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করে পাঠাতে বলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ১ হাজার ২২৪ কোটি ১২ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি আগামী একনেক মিটিংয়ে এ প্রস্তাব অনুমোদন হবে। এরপর থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। খাল খননে এখন আর কোনো জটিলতা নেই।’ জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ জুন ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন দেয়। ২০১৫ সালের  ১৩ আগস্ট ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকায় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় চার বছর পার হলেও প্রকল্পের কোনো কাজ শুরুই হয়নি। এরই মধ্যে ভূমির মৌজা মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্প ব্যয়ও বেড়ে যায়।

নতুন খালটি নগরীর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে চাক্তাই খাল-শাহ্? আমানত সংযোগ সেতু রোড-নুর নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলির হাট হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার, প্রস্থ ৬৫ ফুট। খালটির মাটি উত্তোলন, সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে উভয় পাশে ২০ ফুট করে ২টি রাস্তা নির্মাণের কথা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর