সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প

২২০ একর জমি পেল রেলওয়ে

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণে প্রায় ২২০ একর জমি অধিগ্রহণ করে রেলওয়েকে হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিয়েছে ১০.১৭২৫ একর এবং কক্সবাজার সদর দিয়েছে ২১০.৪২৬০ একর। বাকি ভূমিগুলো দ্রুত অধিগ্রহণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। রেললাইনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি এ প্রকল্পের অন্য কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে রেলওয়ে প্রশাসন কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম এ প্রকল্প ইতিমধ্যে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সদরের প্রায় ২২০.৫৯৮৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে রেলওয়েকে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ভূমি অধিগ্রহণ কীভাবে আরও ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন স্থাপিত হলে যোগাযোগসহ দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বারও খুলবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

এদিকে গত শনিবার রেলওয়ের ডিজি মো. আমজাদ হোসেন চট্টগ্রাম অবস্থাকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। সার্কিট হাউসে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের (পিডি) মো. মফিজুর রহমান, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (এপিডি) আবুল কালাম চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের পুনর্বাসন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) মোমিনুর রশীদ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সৈয়দ মুরাদ আলী।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর