সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
টগিওয়ার্ল্ড হাতের লেখা প্রতিযোগিতা

উইলস লিটলের খুদে শিক্ষার্থীরা পুরস্কৃত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইলস লিটলের খুদে শিক্ষার্থীরা পুরস্কৃত

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অডিটরিয়ামে গতকাল বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শিশুদের হাতের লেখা বিষয়ে স্কুলভিত্তিক ‘টগি ওয়ার্ল্ড লেখার লড়াই’ প্রতিযোগিতায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের খুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। কেজি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পারফেক্ট গ্রুপ, আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি চ্যালেঞ্জ গ্রুপে ৪০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। গতকাল উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার তুলে দেন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন ও বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের হেড অব মার্কেটিং এম এম জসিম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য মোজাম্মেল হক, অভিভাবক প্রতিনিধি আনিসুর রহমান লাভলু ও বসুন্ধরা সিটির জিএম (মার্কেটিং) আসিফ ফেরদৌস। পুরস্কার বিতরণীর পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, দুই গ্রুপের প্রথম তিনজনকে নগদ অর্থ, সার্টিফিকেট এবং একদিন টগি ওয়ার্ল্ডের সব রাইড ফ্রি ভ্রমণের টিকিট দেওয়া হয়। উভয় গ্রুপের চতুর্থ থেকে ২০তম পর্যন্ত শিক্ষার্থীরাও ৫০ শতাংশ ছাড়ে রাইড ভ্রমণের সুযোগ পাবে। প্রথম স্থান অধিকারীকে পাঁচ হাজার টাকা, দ্বিতীয় তিন হাজার টাকা আর তৃতীয় স্থান অধিকারীকে দুই হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। পাশাপাশি একদিনে সব রাইড ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। স্বাগত বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, ‘শিশুদের হাতের লেখা প্রতিযোগিতা একটি ভালো কাজ। যা দেশের অন্যতম বড় গ্রুপ বসুন্ধরা করছে। ভবিষ্যতেও এ কাজটি চালিয়ে যেতে হবে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা বাংলাদেশের একটি বড় গ্রুপ। এমন কোনো পণ্য নেই যা তারা উৎপাদন করে না। ভবিষ্যতে এই গ্রুপ আরও বড় হয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কেউ ডাক্তার, কেউ সাংবাদিক কিংবা রাজনৈতিক নেতা হবে। এ জন্য একজন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে শিক্ষার পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে সবাইকে অংশ নিতে হবে।’ সবাইকে বসুন্ধরা সিটির টগি ওয়ার্ল্ড ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা একমাত্র গ্রুপ, শিশুদের কথা বিবেচনা করা ইনডোর অ্যামিউমেন্ট পার্ক নির্মাণ করেছে। যাতে শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদনও পেতে পারে। সবাইকে টগি ওয়ার্ল্ডে আসার আমন্ত্রণ রইল।’ তিনি বলেন, ‘হাতের লেখা সারা জীবনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকের হাতের লেখা ভালো হয় না। সে ক্ষেত্রে শিশুদের হাতের লেখা ভালো করার জন্য প্রফেশনালদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এতে শিশুদের হাতের লেখার উন্নতি ঘটবে।’

সর্বশেষ খবর